মুখ ও গলার ক্যানসার এ দেশে সবচেয়ে বেশী মানুষের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। পুরুষদের মধ্যে প্রথম স্থানে এবং মহিলাদের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মুখ ও গলার ক্যানসার। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তামাকজাত দ্রব্য সেবনের ফলে মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হন। জিভ বা মুখের ভেতরের অন্য অংশে কোন ক্ষত যদি শুকোতে না চায়, অনেকদিন ধরে গলাধরা, দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা কাশি, গলার ভেতরে অস্বাভাবিক মাংসপিণ্ডর আবির্ভাব, এই ধরণের সমস্যায় অবিলম্বে ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন। তবে শুধু তামাকজাত দ্রব্য সেবন করলেই যে ক্যানসার হবে এমন নয়। হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস থেকেও এই জাতীয় হতে পারে। তবে এ ছাড়া অন্যান্য কারণেও কিছু ক্ষেত্রে ক্যানসার হয়ে থাকে। সুপারি ও এলকোহলজাতীয় দ্রব্য সেবনও এই জাতীয় ক্যানসারের কারণ হতে পারে। তবে প্রধানত তামাকজাত দ্রব্য চিবিয়ে খাবার কারণেই মুখ ও গলার ক্যানসার দেখা যায়। আমেরিকায় যেহেতু এই প্রবণতা কম তাই সেখানে এই ধরণের ক্যানসারের প্রকোপ অনেকটাই কম। সেখানে আবার ফুসফুসের ক্যানসারে বেশী মানুষ আক্রান্ত হন। সাধারণত তামাকজাতীয় দ্রব্য চিবিয়ে খাবার ফলে মুখ ও গলার ক্যানসার এবং ধূমপানের ফলে ফুসফুসের ক্যানসার হয়ে থাকে। তাই তামাক, সুপারি ও এলকোহলকে বাদ দিতে পারলে বিপদের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। এই জাতীয় ক্যানসার থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা অনেকটাই নির্ভর করে কোন সময় চিকিৎসা শুরু হচ্ছে তার ওপর। প্রথম ও দ্বিতীয় স্টেজে ধরা পড়লে সেরে ওঠার সম্ভাবনা ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ। কিন্তু তৃতীয় বা চতুর্থ স্টেজে ধরা পড়লে এই সম্ভাবনা কমে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ হয়ে যায়। নারায়ণা সুপারস্পেশ্যালিটি হাসপাতালে মুখ ও গলার ক্যানসার সংক্রান্ত সবরকম চিকিৎসার সুবন্দোবস্ত রয়েছে। অঙ্কোসার্জন ও প্লাস্টিক সার্জনদের টিম এই সংক্রান্ত যে কোনরকম অপারেশনে সক্ষম। পূর্ব ভারতে এই মুহূর্তে এই হাসপাতাল ক্যানসার চিকিৎসায় সবচেয়ে বেশী সাফল্য পেয়েছে। বহুক্ষেত্রে মুম্বইসহ দেশের অন্যান্য জায়গা থেকে এখানে এসে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ ডাক্তাররা দিয়ে থাকেন। পৃথিবীর যে কোন প্রান্তের ক্যানসার চিকিৎসাকেন্দ্রের সমমানের পরিষেবা এখানে সহজলভ্য। সমস্তরকম সুবিধা সম্বলিত এই হাসপাতালে চিকিৎসা করানো স্থানীয় মানুষদের পক্ষেও অনেকটাই সাশ্রয়কারী হতে পারে।
হেড এন্ড নেক ক্যানসার
previous post